ঈদূল আজহা উপলক্ষে পশু আমদানির কোন পরিকল্পনা নাই - মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী

খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের আরও পরিকল্পনা রয়েছে, ঈদূল আজহা উপলক্ষে পশু আমদানি করার কোন পরিকল্পনা নাই। দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই চাহিদা মিটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমাদের আরও পরিকল্পনা রয়েছে, ঈদূল আজহা উপলক্ষে পশু আমদানি করার কোন পরিকল্পনা নাই। দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই চাহিদা মিটানো সম্ভব  বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।রোববার দুপুরে সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নব নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, প্রাণী সম্পদের মধ্যে গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পণা নিয়েছি। যেমন আমাদের একটা বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা আমাদের পক্ষ থেকে দিব। নামমাত্র লাভে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগটি দিচ্ছি। সুতরাং নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

ঈদুল আজহা সম্পর্কে মন্ত্রী আরো বলেন, ঈদ উপলক্ষে কোন পশু আমদানি করার কোন পরিকল্পনা নাই। পশু যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে পরিকল্পণা রয়েছে এবং উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম উদ্দিন। এসময় প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।